গত চার-পাঁচ বছরে অবসরে যাওয়া এফডিসির ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের গ্রাচ্যুয়িটি বাবদ পাওনা সাড়ে ১২ কোটি টাকা এখনো বুঝে পাননি। তাঁরা কোনো পেনশনও পাচ্ছেন না বলে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনের পর দিন উপোস করছেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসাও ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসে তাঁদের সন্তানদের স্কুলের বেতন ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। উপোস আর হতাশায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে এ পর্যন্ত আটজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।
দুই মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ, চলতি মাস শেষের পথে, এ মাসের বেতনও অনিশ্চিত। অবসরগ্রহণকারীরাও বছরের পর বছর পাচ্ছেন না প্রাপ্য, তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এফডিসির এমন করুণ অবস্থা এখন। এর মূল কারণ সংস্থাটির আয় কমে যাওয়া। যেমন- গত তিন মাসে এফডিসিতে কাজ হয়েছে মাত্র দুটি ছবির। এফডিসির একটি সূত্র জানায়, সংস্থাটিতে বর্তমানে স্টাফ রয়েছেন ২১৫ জন। প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ তাঁদের মাসিক বেতনের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ২ লাখ টাকা। তাছাড়া বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচসহ এই সংস্থার মাসিক ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। অথচ এর বিপরীতে চলচ্চিত্রের কাজ থেকে আয় মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা। এই আয় কমে যাওয়ায়ই এফডিসি পড়েছে চরম সংকটে। এমন চিত্র কমপক্ষে ২০১০ সাল থেকে। অর্থের অভাবে পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে বিদ্যুৎ ও পানির বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। সর্বশেষ এলিভেটর এক্সপ্রেসের জন্য এফডিসির সামনের রাস্তাটি অধিগ্রহণ বাবদ এফডিসিকে সরকার যে ৬ কোটি টাকা প্রদান করে তা এফডিআর করে রাখা হয় এবং তা থেকে লোন নিয়ে বেতন পরিশোধ চলছিল। বিস্তারিত