অজানাকে জানার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছে মানুষ। আর সেই গবেষণায় সাফল্যও এসেছে অনেকদূর। এরপরও পৃথিবীতে যেমন অনেক অজানা জিনিস রয়েছে, তেমনি নিয়মের বেড়াজালে মানুষও তৈরি করেছে অনেক রহস্য। পৃথিবীজুড়ে এমন কতগুলো সিক্রেট প্লেস বা গোপন স্থান রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বাইরের পৃথিবী তেমন কিছুই জানে না। এ জায়গাগুলোয় প্রবেশাধিকার একেবারে সংরক্ষিত। কেউ চেষ্টা করলেও সেখানে যেতে পারবেন না। শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পারে এ জায়গাগুলোর ভিতর ঢুকতে। কেবল তারাই জানেন এর ভিতরে কী হয়, কীভাবে হয়। আর বাইরের মানুষজন কেবল মুখরোচক গল্পই ফাঁদে। এ রকম কয়েকটি গোপনীয় ও রহস্যময় জায়গা নিয়ে আজকের আয়োজন।
রাফ মেনওয়াদ হিল
বিস্ময়কর এক স্থান
এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর, রহস্যমণ্ডিত গোপন স্থান মনে করা হয়। বছরের পর বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের কাছে এ স্থানটি অপার রহস্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত হয়ে এসেছে। তবে জায়গাটির বিশেষত্ব সবচেয়ে বেশি পৃথিবীর বাঘা বাঘা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। যেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজই এরকম রহস্য আর সন্দেহজনক বিষয় নিয়ে সেখানে খোদ তারাই বিভ্রান্ত রাফ মেনওয়াদ হিল নিয়ে। এটি সাধারণ কোনো পাহাড় নয়।
এটি ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত গোপন পাহাড়গুলোর একটি। এখানে একটি ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখান থেকে ব্রিটিশদের যাবতীয় গোপন গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো হয়। ধারণা করা হয়, এখানকার ব্রিটিশ সামরিক বেসের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ‘ইখেলন গ্লোবাল স্পাই নেটওয়ার্কিং’-এর খুব ভালো যোগাযোগ রয়েছে। অনেকের ধারণা, এটি কেবল ইংল্যান্ডকেই গোয়েন্দা সাপোর্ট দিচ্ছে এমন নয়, বরং এর বন্ধুদেশ আমেরিকাকেও এখান থেকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হয়। আমেরিকার সংশ্লিষ্টতার কারণে জায়গাটির প্রাযুক্তিক উৎকর্ষতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে নিরাপত্তাও। এখানকার চারপাশে এত জটিল ও এত বেশি স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে যে, খুব সহজে সেটি ডিঙিয়ে বাইরে পৌঁছা সম্ভব নয়। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক মনিটরিং স্টেশনের অবস্থান এখানেই।বিস্তারিত