নির্বাচনে কিশোর গ্যাংয়ের কদর

নির্বাচনে কিশোর গ্যাংয়ের কদর

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। সমপ্রতি ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা চালিয়ে জড়িতদের আটক করলেও বেশি দিন বন্দি রাখা যায় না। কারণ, নারী ও শিশু আইন-২০১৩ এ বিচারিক প্রক্রিয়ায় কেউ কেউ দণ্ড পেলেও অধিকাংশই আইনের ফাঁকফোকরে বেরিয়ে যান। মুক্তি পেয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে শিশু-কিশোরদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। শুধু ঢাকায় ৯টি ট্রাইব্যুনালে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫টি মামলার শুনানি করতে হয়। মাঝে মধ্যে এর থেকে বেশিও থাকে। বর্তমানে নারী-শিশু ও কিশোর অপরাধ আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যায়। যাদের বয়স ১৮ বছরেরে নিচে কেবল তাদেরই নারী ও শিশু কোর্টে বিচার হয়। শিশু আইনের ধারা-৪৯ এর ক্ষমতাবলে অপরাধীদের ধরন অনুযায়ী প্রবেশনের মাধ্যমে মুক্তি দিয়ে থাকেন আদালত। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব কিশোর নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক থেকে শুরু করে খুনোখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। অথচ এই বয়সে তাদের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা, নতুন নতুন উদ্ভাবনী কোনো কাজে অংশগ্রহণ এবং মাঠে খেলাধুলা করে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় ব্যস্ত থাকার কথা।

ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর স্পেশাল পিপি মো. সহিদ হোসেন ঢালী আমার সংবাদকে বলেন, কিশোর গ্যাং অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। শিশু আইন-২০১৩ এর ধারার মাধ্যমে বিচার, সাজা এবং মুক্তি দেয়া হয়। আমাদের কাছে কিশোর গ্যাংয়ের মার্ডার, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই ও মাদকসহ সব ধরনের মামলা আসে। তবে মুক্তি পেয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে (পিসিপিআর নিয়ে) কোর্টে আসে ১৫ শতাংশ শিশু-কিশোর। গড়ে প্রতিদিন তার কাছে কমপক্ষে পাঁচটি মামলা আসে বলেও জানান মো. সহিদ হোসেন ঢালী। তিনি আরও জানান, মাঝে মধ্যে দৈনিক ১৫ থেকে ২০টি মামলার শুনানি করতে হয়। ঢাকায় ৯টি ট্রাইব্যুনাল আছে, তাদের কাছেও মামলা আসে প্রতিদিনই। তাতে দৈনিক গড়ে পাঁচটি করে হলেও ৪৫টির কম নয়। বর্তমান সময়ে নারী-শিশু ও কিশোর অপরাধ আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যায় বলেও জানান তিনি। মামলাগুলো প্রথমত থানা হয়ে কোর্টে আসে। তবে তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে নারী ও শিশু কোর্টে বিচার হবে, (জন্মনিবন্ধন বা পিএসসি) সার্টিফিকেট দেখাতে হবে এবং মামলাগুলো শুনেন নারী-শিশু জেলা জজ, সন্দেহ হলে ডিএনএ টেস্টও করা হয়। যদি তাদের বয়স একদিনও বেশি হয় তাহলে রেগুলার আদালতে বিচার হয়। বিস্তারিত

জাতীয় রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ