একাদশ সংসদের এমপিদের বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ

একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ ও পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।

আদালত বলেছে, সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা সম্বলিত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। শপথ নিলেও একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছে ৩০ জানুয়ারি। আর সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বসার দিন থেকে এমপিরা কার্যভার গ্রহণ করেছে। সংবিধান অনুযায়ী এখানে আইনের ব্যতয় হয়নি।

আরো বলা হয়, সংসদ অধিবেশন শুরু আগে শপথ নেয়ার মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকার গঠনের সুবিধার্থে। কারণ রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলের প্রধানকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন। এ কারণে এমপিরা আগে শপথ নেয়ায় সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে সরকার গঠন করা হয়ে থাকে। অতএব রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হলো।

দশম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদের এমপিদের শপথ নেয়া সংবিধান পরিপন্থী দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে- সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুইটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।

কিন্তু সে নোটিশের কোন জবাব না পাওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার খোকন এ রিট দায়ের করেন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি রিটটির ওপর শুনানি শেষ হলে গত ১৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। তবে আদেশের দিন রিট আবেদনকারী উপযুক্ত পক্ষ না হওয়ায় আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করিয়ে নেন রিটকারী। এরপর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নতুন করে একই বিষয়ে পুনরায় এ রিট করেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ