মাসে অনলাইন জুয়ায় লেনদেন হয় ২৫-৩০ কোটি টাকা

মাসে অনলাইন জুয়ায় লেনদেন হয় ২৫-৩০ কোটি টাকা

অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। চক্রটি প্রতিমাসে গড়ে ২৫-৩০ কোটি টাকা লেনদেন করে। এই টাকার বেশিরভাগ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সিআইডির প্রধান কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–সাইফ বিন ওহিদুল ওরফে বিপু (৩০), জামিল হোসেন (৪২), রাসেল শেখ (২৩), সাব্বির হোসেন (২২), সোহাগ হোসেন (২৪), মাইনুদ্দিন শিকদার ওরফে ছোটন (২৫) ও ইমন হোসেন (২৩)। তাদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন ও ৯টি এজেন্ট সিমসহ ২২টি সিম জব্দ করা হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, অনলাইন জুয়ার জন্য আলাদা আলাদা বেটিং সাইট বা ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমেই একজন ব্যক্তিকে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অংকের একটি ব্যালেন্স যোগ করতে হয়। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নির্দিষ্ট নম্বরে টাকা পাঠালে ব্যালেন্স যোগ হয়ে যায়। ব্যালেন্স যুক্ত হওয়ার পরে সাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার যে অপশন রয়েছে সেগুলো থেকে যেকোনো একটি পছন্দ অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট হোল্ডার খেলতে পারেন। অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তি জিতলে অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স জমা হবে। আর হেরে গেলে টাকা চলে যায় জুয়ার সাইট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডি জানতে পেরেছে–বাংলাদেশে প্রচলিত যতগুলো বেটিং সাইট রয়েছে তার বেশিরভাগই রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রিত। বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়। এ দেশের অন্যতম এজেন্ট বরিশালের পলাতক তারেক রহমান ওরফে তুহিন। তিনি গ্রেপ্তারকৃত সাইফ বিন ওহিদুলকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেন এবং পরবর্তীতে তাকে পার্টনার হিসেবে এজেন্টশিপ দেন।

তথ্য প্রুযুক্তি শীর্ষ সংবাদ