শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফল হোক। যারা আন্তরিকতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন, তাদেরকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না। সঠিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে না পারলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ
(ডব্লিউইউবি)-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই আইনটি কার্যকর করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। তাই স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্বিবিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী এবং দৃঢ়। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। এজন্য পর্যাপ্তসংখ্যক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রকৃত উচ্চশিক্ষিত নাগরিক সৃষ্টি করতে হবে।
সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর মুশফিক এম চৌধুরী বক্তৃতা করেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন এসোসিয়েশন অব্ কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ-এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. জন উড। সমাবর্তনে ৩১৭৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।