আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। এতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র বিক্রেতা ও নির্বাচনে সহিংসতা চালাতে পারে এমন সব রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের তালিকা ধরে চলছে এ অভিযান। এদিকে বৈধ অস্ত্রের হিসাব থাকলেও দেশে কি পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র আছে তার সঠিক হিসাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ কোনো সংস্থার কাছেই নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ইতোমধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার শুরু করেছে পুলিশ, ডিবি ও র্যাব। তথ্যমতে, চলতি বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা তিন সহস্রাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগেই কদর বাড়ে অবৈধ অস্ত্রের। প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো, পেশিশক্তি প্রদর্শন, খুনখারাবি, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা কাজেই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে প্রার্থীদের কেউ কেউ পেশাদার ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নির্বাচনে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। আর সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন। ইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে কারাগারে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও। তাদের অনুসারীরা বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় নেতাদের ছত্রছায়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গত কয়েক মাসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে তারা বড় ধরনের ভূমিকা রাখার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অবৈধ অস্ত্রের সঠিক হিসাব না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে পারবে। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া অবৈধ অস্ত্রের প্রভাবে নিমিষেই অগণতান্ত্রিক রূপে পরিণত হতে পারে। সামপ্রতিক সময়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধমূলক একাধিক কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। নিরীহ পথচারী নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রের যেন অবৈধ ব্যবহার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিস্তারিত