বিচ্ছিন্ন সহিংসতা, গুলি, ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাসহ নানা অনিয়মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ চলে। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলগুলো ভোটে অংশ না নেয়ায় এমনিতেই ভোটের মূল মেজাজ সৃষ্টি অনুপস্থিত। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের অনুগত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট শরিকরা ভোটে অংশ নিলেও নৌকা প্রতীকের প্রভাব প্রতিপত্তির ও চাপের মুখে দলে বেধে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেন। দল হিসেবে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জই করতে পারেনি এক সময় সরকার পরিচালনাকারী এই দলটি। এ অবস্থায় ভোটের মাঠে নৌকার প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ভোটের অভিনব কায়দায় পেশিশক্তির বল প্রয়োগের অভিযোগ তোলে অনেক প্রার্থী ভোটের মাঠ ছেড়ে দেন। ভোটের দিনেও বিভিন্ন আসনে অন্তত ২৬ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে খুব সহজেই জয়ের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত ফলে দলটির দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ী হলে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ পাবে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের নির্বাচিতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে : গতকাল রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২৬৮ সংসদীয় আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওই ২৬৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২০৪, স্বতন্ত্র ৫৩, জাতীয় পার্টি ৯টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ও এনপিপি একটি করে আসনে বিজয়ী বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা (নৌকা) দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম, এনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। পঞ্চগড়-২ মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নীলফামারী-১ আসনে মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-১ মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান জয়লাভ করেন, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশি, কুড়িগ্রাম-৩ এ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মো. বিপ্লব হাসান, জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আসনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।বিস্তারিত