নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেনটন টেরেন্ট কম্পিউটারে ভিডিও গেমে আসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার নানি মারি ফিটগারাল্ড। নাইন নিউজকে তিনি একথা জানিয়েছেন বলে রবিবার খবর প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর নির্বিচারে হত্যার অভিযোগে ব্রেনটন টেরেন্টকে আটক ও অভিযুক্ত করেছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। ভয়াবহ সেই ঘটনার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টেরেন্টের পরিবারের সদস্যদের সেফ হোমে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
যদিও অস্ট্রেলীয় মিডিয়ার কাছে প্রথমে শুনে বিশ্বাস করেননি ৮১ বছরের মারি ফিটগারাল্ড। তিনি বলেন, “না, এটা হতে পারে না।” তারপর ছবি দেখানোর পর টেরেন্টের নানি বলেন, ”সে যা করেছে তা ঠিক নয়। আমরা সেই সব পরিববারের প্রতি খুব দুঃখ প্রকাশ করছি, যাদের পরিবারের ওই ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা শুধু বাড়ি যেতে চাই এবং লুকাতে চাই।”
দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জনের মতো মুসল্লি নিহত হয়েছেন। যেভাবে নির্বিচারে বন্দুক হাতে ব্রেনটন টেরেন্ট মুসল্লিদের ওপর গুলি চালিয়েছেন তা অনেকটা ভিডিও গেমের সঙ্গে মিলে যায়। টেরেন্টের নানিও জানালেন, ছোট বয়স থেকে অবসর সময়ে সে ঘরে বসে ভিডিও গেম খেলতো।
মারি ফিটগারাল্ড জানান, টেরেন্ট তার অধিকাংশ সময় কম্পিউটারে…এবং কম্পিউটার গেম খেলতো। এরপর বিদেশ ভ্রমণ শুরু করে। আমি মনে করি যে, তখন থেকে ছেলেটি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছে। আর এখন সবাইকে বিধ্বংস্ত করেছে।