সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে বিএনপি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ যখন টানা চতুর্থ দফায় সরকার গঠন করেছে, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকের মুখেই এমন আলোচনা। পাশাপাশি এত মামলা, গ্রেপ্তার, চাপ ও প্রলোভনের পরও দল ভাঙেনি এবং মানুষ ভোটে সেভাবে সাড়া দেয়নি; এটাকে সফলতা হিসেবে দেখছেন দলটির অনেকে।
টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এর মধ্যে এক যুগেরও বেশি সময় কেটেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। গত দেড় বছর দলটি ছিল সরকার হটানোর ‘এক দফার’ নানা কর্মসূচিতে। ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছেড়েছে বিএনপি। এরপর দীর্ঘ আন্দোলনে সরকারের পতন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বা রাজনৈতিক পটপরিবর্তন—কোনোটিতেই সফল হয়নি দলটি। যদিও ২০২২ ও ২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সমাবেশসহ অনেকগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে।
দেশের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটির দেশব্যাপী সমর্থন ও শক্তি থাকার পরও আন্দোলন কেন বিফল হলো—এ প্রশ্ন এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।
এ প্রশ্নে তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম মূল্যায়ন বা পর্যবেক্ষণ পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই মনে করেন, বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারণ সরকার ও প্রশাসনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা, গ্রেপ্তার, জেল-জুলুম, বিচার ও শাস্তি প্রভৃতি। পাশাপাশি দলের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আন্দোলনে বিদেশনির্ভরতার কথাও বলেছেন অনেকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আন্দোলনে যুক্ত করার ক্ষেত্রেও বিএনপি সফল হয়নি, সেটা উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন মনে করেন, বিএনপির নেতৃত্বের দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি সাংগঠনিক দুর্বলতাও আছে অনেক। এ ছাড়া আন্দোলনে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কতটা ছিল, সে প্রশ্নও আছে।বিস্তারিত