চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেকহোল্ডার দুই এয়ারলাইন্সসহ সাত সংস্থার ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে। এর মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক) শাখা, বেবিচক এস্টেট শাখা, বেবিচক ইএম শাখা, বেবিচক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা, আনসার, কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, এপিবিএন ও পুলিশের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িয়েছেন নানা অপকর্মে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেবিচকের ১০ কর্মকর্তার নাম। এর মধ্যে চারজনকে বদলি করা হলেও বাকিরা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৮ মোহাম্মদ রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত বিভিন্ন সংস্থার কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাইসহ সাত সংস্থার অপকর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে। এসব সংস্থার কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির কারণে বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
বেবিচকের দুর্নীতি : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিমানবন্দরের মূল স্টেকহোল্ডার হলো বেবিচক। বেবিচকের বিভিন্ন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। বেবিচক অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক) শাখার সদস্যরা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের কাছ থেকে বকশিশের নামে টাকা নেওয়া, স্বর্ণ ও ইয়াবা চোরাচালান, হুন্ডি পাচার, বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের কর্ণধার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রটোকল দেওয়ার নামে অর্থ আদায়সহ নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। অ্যাভসেক শাখার সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের প্রশ্রয়ে এসব অনিয়ম হচ্ছে। বিস্তারিত