সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী (৯৮তম জন্মদিন) ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে ১৯ মার্চ রোববার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শতাধিক বাঙালি শিশু অংশ নেয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সকালে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সূচনা করা হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে জাতির পিতার ওপর একটি কুইজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সমেবেত শিশুরা। কুইজের প্রশ্নোত্তরে শিশুদের সক্রিয় সমবেত অংশগ্রহণ তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে জানার সুযোগ করে দেয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রেস্ট’ প্রদান করা হয়।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুরু হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশিত হয়। এতে জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের সাথে আন্তর্জাতিক ও কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনে জাতির পিতার ভূমিকার বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতাকে বছরের প্রতিটি দিনই স্মরণ করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাগরিক, মিডিয়া প্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।