বিভিন্ন সেবা নিতে রিটার্ন দেয়ার বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্র ও আয়কর সেবা মাসের সময় দুই মাস বাড়ানোর পরও কাঙ্খিত হারে বাড়েনি আয়কর রিটার্ন জমার পরিমাণ। সেবা মাস শেষে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন ৯৯ লাখ ৭২ হাজার জন। কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৪০৬টি। অর্থাৎ টিআইএনধারীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই রিটার্ন জমা দেননি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আয়কর সেবা মাস। দুই মাস মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩১ জানুয়ারি সেবা মাস শেষ হয়। চলতি অর্থবছরের সেবা মাসে এনবিআরের আয়কর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের সেবা মাসে যা ছিল ৪ হাজার ৮৯৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩০ লাখ ২৮ হাজারের কিছু বেশি।
এ বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, রিটার্ন জমার সংখ্যা ৮০ লাখ করতে কাজ চলমান রয়েছে। যে রিটার্ন জমা হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট না। তবে এনবিআর এ সংখ্যা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া এখনও কোম্পানির রিটার্ন জমার মেয়াদ শেষ হয়নি। এক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জুনের মধ্যে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশাও করছেন তারা।
দুই বছর আগে পর্যন্ত ৩৫ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে টিআইএন প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাতে টিআইএন বাড়তে শুরু করলেও রিটার্ন তেমন বাড়ছিল না। এরপর এনবিআর ৩৮ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন বা পিএসআর জমা নেওয়া বাধ্যতামূলক করে। গত বছর নতুন আয়কর আইনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৩ করা হয়। অর্থাৎ এসব সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে পিএসআর দেখাতে হবে।
এদিকে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। এ খাতে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ৮ হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।