৯০৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘কারসাজি’ গণপূর্ত অধিদপ্তর নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভবন নির্মাণ করাতে চায় সমাজসেবা  ৭৪টি প্যাকেজের কেনাকাটা অনুমোদন দেবেন প্রকল্প পরিচালক।  সাতটি প্যাকেজ অনুমোদনকারী হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

৯০৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘কারসাজি’ গণপূর্ত অধিদপ্তর নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভবন নির্মাণ করাতে চায় সমাজসেবা ৭৪টি প্যাকেজের কেনাকাটা অনুমোদন দেবেন প্রকল্প পরিচালক। সাতটি প্যাকেজ অনুমোদনকারী হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

জনবলের অভাবে ভবঘুরেদের জন্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে যথাযথ সেবা দিতে না পারলেও ভবন নির্মাণে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণে ৯০৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করাতে ‘তদবির’ করছে তারা।

সমাজসেবা এই প্রকল্প নিতে ‘কারসাজির’ আশ্রয়ও নিয়েছে। ৯০৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজকে তারা ৮১টি ভাগে ভাগ করেছে, যাতে এই প্রকল্পের কেনাকাটায় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন না লাগে।

সাধারণত সরকারি ভবন নির্মাণের মতো পূর্তকাজ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। তাদের সে বিষয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু সমাজসেবা ভবন নির্মাণ করাতে চাইছে তৃতীয় পক্ষ, অর্থাৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে। তারা কেন গণপূর্তকে বাদ দিয়ে ভবন নির্মাণের প্রকল্প নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

মন্ত্রিসভা কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে এড়াতে ১০ কোটি, ২০ কোটি করে ছোট ছোট ৮১টি ভাগে কেনাকাটার প্রস্তাব।

সমাজসেবার প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কমিশন সূত্র বলছে, তদবির থাকলেও কমিশনের কোনো কোনো কর্মকর্তা এভাবে প্রকল্পটির অনুমোদন দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।

সরকারি কেনাকাটার প্রস্তাব মূল্যায়নকারী সংস্থা সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সাবেক মহাপরিচালক ফজলুল করীম প্রথম আলোকে বলেন, একই ধরনের কাজে আলাদা আলাদা প্যাকেজ করার অর্থ এখানে কোনো দুরভিসন্ধি আছে। পছন্দের কাউকে কাজ পাইয়ে দিতে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসা উচিত।বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ