সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। সবার কাছে গুরুত্ব পায় সোনা। তবে আদি যুগে এই ধাতু সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। জানা ছিল না সোনা উত্তোলনের কৌশল। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা খনির সন্ধানও ছিল না। এখন মানুষ সোনা নিয়ে রাজত্ব করা শিখেছে। কালে কালে গড়ে উঠেছে অসংখ্য সোনার খনি। এসব সোনার ভান্ডার নিয়েই আজকের আয়োজন…
ভূকম্পনে সৃষ্টি হয় স্বর্ণ!
স্বর্ণ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এই ধাতব বস্তুর মূল্যও চোখে পড়ার মতো। তবে প্রশ্ন হলো- সোনা কীভাবে তৈরি হয়? কালে কালে এর উত্তরও বের করার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ভাষ্যমতে, ভূমিকম্পের ফলে নাকি তৈরি হয় সোনা। আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের ফলে নাকি সৃষ্ট ভূগর্ভস্থ তরল পদার্থগুলো খন্ডিত হয়ে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে রূপান্তরিত হয় মূল্যবান সম্পদে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ভূ-পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক ডিওন ওয়েদারলি জানান, ভূগর্ভস্থ তাপ ও চাপের ফলে তরল পদার্থগুলো পৃথক পৃথক কণায় রূপান্তরিত হয়। সৃষ্টি হয় নতুন নতুন পদার্থ। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে পানির সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সিলিকা মিশে থাকে। যখন ভূকম্পন হয় তখন প্রচ- তাপ ও চাপের ফলে ভেঙে যায় সেখানকার পানির কণাগুলো। এতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান খনিজ পদার্থের সৃষ্টি হয়।
সোনার কদর রয়েছে সারা বিশ্বে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও এই ধাতব বস্তুটির প্রভাব বেশ লক্ষণীয়। এই যেমন- করোনাকালীন অর্থনৈতিক মন্দায় সোনার দামে ভীষণ অদলবদল দেখা গেছে। একইভাবে এর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধেও সোনার দাম হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। কয়েক বছর আগের কথা, করোনা পরবর্তীতে আকস্মিক স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ডলার ছাড়িয়েছিল। সেবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও স্বর্ণের মতো নিরাপদ সম্পদ কেনায় সতর্কতা জারি করেছিল।বিস্তারিত