নিজস্ব প্রতিবেদক
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আজ সংসদে সংরক্ষিত আসনের ৫০ জন নতুন সংসদ সদস্যের নাম গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামীকাল তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পরপরই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অথবা ৩ মার্চ রোববার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। আর এই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে নতুন ১০ থেকে ১২ জন মন্ত্রী মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজন নারী সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে সমস্ত নারী সংসদ সদস্যরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে আলোচনা আছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন শাম্মী আহমেদ, তারানা হালিম এবং ডা. রোকেয়া সুলতানা। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্যকেও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান একই পদে স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলেও কোন কোন মহলে আলোচনা আছে।
অন্যদিকে, এই সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় দুইজন অন্তত টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে রাজনীতিবিদ কারা কারা মন্ত্রিসভায় স্থান পান বা আদৌ স্থান পান কিনা সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে আলাপ আলোচনা এবং জল্পনাকল্পনা সবচেয়ে বেশি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি চান। এটি তাদের প্রত্যাশার কথা৷ এ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যে সমস্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন। এছাড়াও গত মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া এবং নতুন মন্ত্রিসভায় বাদ করা এনামুল হক শামীম মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে।
মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ছয়টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী নিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্র আভাস দিচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও টেকনোক্র্যাট কোটায় একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র আভাস দিচ্ছে। তবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের কাজটি প্রধানমন্ত্রী একাই করছেন এবং এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের ক্ষমতা সংবিধান তাকেই দিয়েছে। তাই সব কিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ের ওপর।