দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপে হিটশকের ঝুঁকিতে পড়েছে বোরো ধান আর দুশ্চিন্তা বেড়েছে কৃষকদের। প্রচ দাবদাহে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। প্রচ- গরমে ধানসহ অন্যান্য ফল-ফসলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারা দেশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ২২ লাখ ৫৬৪ টন। তবে অতি তাপে উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এবার। কেননা, ২০২১ সালে কয়েক ঘণ্টার হিটশকে ৩ লাখ কৃষকের ২১ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছিল।
কৃষি সংশ্লিষ্টদের মতে, ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পারেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেছে; যা ধানের জন্য সহনীয় মাত্রার বেশি। এখন যদি দু-তিন ঘণ্টা ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে গরম বাতাস বয়ে যায় তবে হিটশক হবে। ফলে ধান নষ্ট হয়ে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিতে কৃষকদের পাশে থাকতে সব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেহেতু গরম বেশি, তাপমাত্রা বেশি, এতে দুশ্চিন্তা থাকলেও আমরা আশা করছি কৃষিতে সমস্যা হবে না।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বোরো ধানের ফুল ফোটার সময় (ফ্লাওয়ারিং স্টেজ) তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে ধানের জন্য ক্ষতি হয়। বতর্মানে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বোরো ধানের ফ্লাওয়ারিং স্টেজ চলছে। যে কারণে হিটশকের বড় ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।বিস্তারিত