আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি;
চলন্ত ট্রেনে নারীর ভিডিও করার সময় ধরা পড়ে হাজতে গেলেন সুজন ঋষি (২৫) নামে এক যুবক। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর গোধুলী ট্রেনে ঘটনাটি ঘটে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই যুবককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আখাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একে এম শরীফুল হক।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর গোধুলী ট্রেনে সফর করছিলেন এক নারী। ঋষিও একই ট্রেনে সফর করছিলেন। তবে তিনি টিকিট না কেটে ট্রেনের বগির দরজার পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ট্রেনের টয়লেটে যান। এ সময় তার ভিডিও করেন সুজন ঋষি। ওই নারী বিষয়টি ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদের জানান। পরে তারা ঋষিকে ধরে মারধর করেন।
এরপর ট্রেনটি আখাউড়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতিতে থামলে ঋষিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন যাত্রীরা। পুলিশ তাকে আটক করে উপজেলা ভূমি অফিসে নিয়ে গেলে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একে এম শরীফুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তবে নিজের উপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজন ঋষি। পড়ালেখা জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন সম্পর্কে কিছু বুঝি না। সময় কাটানোর জন্য ভিডিও দেখছিলাম। কখন ভিডিও হয়েছে তা জানি না।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার একে এম শরীফুল হক বলেন, ঋষি আখাউড়া উপজেলার কৌড়াতুলি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি সেলুনে কাজ করেন। তার বাবার নাম সনাতন। ওই নারীর লিখিত অভিযোগ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও এবং স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।