ম্যাডাম যুবলীগ

ম্যাডাম যুবলীগ

নাহিদ সুলতানা যুথি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কিন্তু আদালত অঙ্গন ছাড়িয়ে যুবলীগের রাজনীতিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক। নিজের অনুসারীদের নিয়ে গড়েন একটি শক্তিশালী ক্ষমতার কেন্দ্র। যুবলীগের কমিটিতে কোটি কোটি টাকায়  পদবাণিজ্য, কমিটি ঝুলিয়ে রাখা, বড় কমিশন আদায় এবং জবর-দখলের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। মাত্র ৫ বছরেই যুবলীগকে চাপে ফেলে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এমনকি যুবলীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর করে হতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি।

যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীরা বলছেন, যুথি ‘যুবলীগের শাসক’ হয়ে উঠেছিলেন। তার রাজত্বে সবাই ছিল ‘করদ প্রজা’। তাকে টাকার জোগান না দিলে কাউকে নিস্তার দিতেন না। তার এতসব অনিয়মের বিরুদ্ধে যুবলীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি তার স্বামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশও কথা বলতে ভয় পেতেন। চেয়ারম্যানের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাকে সমীহ করলেও তিনি তাদের সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতেন। যুবলীগের প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বার্থ হাসিল করতেন তিনি।

 

জানা গেছে, বার কাউন্সিল থেকে যখন তিনি পিকনিকে যেতেন বা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকতো তখন কোক, সেভেনআপ, স্ন্যাকস যুবলীগ থেকে দিতে হতো। কাউকে মুরগি কিনে দেওয়ার অর্ডার করতেন আবার কারও ওপর আদেশ চাপতো পোলাউ রান্না করে পাঠানোর। যুবলীগের অফিসেও একটি আলাদা ফ্লোর দখল করেছিলেন তিনি। যুবলীগের বৈঠকের জন্য আনা নাস্তার সিঙ্গারা-সমুচার ভাগও দিতে হতো তাকে। যুথির অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারত না। এমনকি তার অনুমতি ছাড়া কেউ চেয়ারম্যানের সঙ্গেও দেখা করতে পারতেন না বলে এক যুবলীগ কর্মী জানান।বিস্তারিত

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ