আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিএনপি জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সামনে রেখে তারা এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ‘নির্বাচনী সমন্বয়ে’ জোর দিচ্ছে। আগামীর রাজনৈতিক পথচলা, আসন বণ্টন ও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব প্রশ্নে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমন্বয় করেই ভোটযুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় বিএনপি। ফলে দলটির পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জামায়াতে ইসলামী।
সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রশ্নে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে না বিএনপি। জনরোষে পালিয়ে যাওয়া দলটির ব্যাপারে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘উচ্চাভিলাষী’ হয়ে ওঠা জামায়াতের সঙ্গে তৈরি ‘দূরত্ব’ ঘোচানোর কথা ভাবছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। বরং জামায়াত ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লক্ষ্য অর্জনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৪২ দল এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী ৬৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে বর্ষীয়ান দুই বাম নেতা দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আগামী দিনের পথচলা নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের মধ্যে আরও বৈঠক হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন। আপাতত তিনি এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম কৌশলী বক্তব্যে বলেছেন, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ হওয়া স্বাভাবিক এবং ভবিষ্যতেও তা হওয়া উচিত।বিস্তারিত