তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মাল্টিপল ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে দুবাই ও কাতারে অর্থ পাচার করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক এমআই ট্রেডিং। হুন্ডি ও হাওলার আশ্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রেমিট্যান্সের অর্থ দেশ দুটিতে রেখে দিয়েছে। একই ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠান টোটাল কোয়ালিটি কোম্পানি শাক-সবজি রপ্তানির নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। এক্ষেত্রে রপ্তানি দেখিয়ে নিয়েছেন নগদ সহায়তা। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের অর্থ দেশে ফেরায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অর্থ পাচার ও হুন্ডির চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে এসেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে। হুন্ডি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি প্রতিবেদনটি এনবিআর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
বিএফআইইউ প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের আমিন কোর্ট করপোরেট শাখার গ্রাহক এমআই ট্রেডিং আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মাল্টিপল ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার করে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চলতি হিসাব বিবরণী পর্যালোচনায় হুন্ডির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমআই ট্রেডিং ৯টি সেলস কন্ট্রাক্টের আওতায় অ্যাডভান্স টিটির বিপরীতে সর্বমোট ৭৯টি ইএক্সপির মাধ্যমে ফিলিপাইন, দুবাই ও কাতারের মোট তিন লাখ ১১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করেছে।বিস্তারিত