৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। একদিকে ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা অন্যদিকে ভারতীয় মায়ের মেয়ে কমলা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। ইতোমধ্যে ৬ কোটি আগাম ভোট পড়েছে। এখন গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য…
ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির মারপ্যাঁচ
যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রার্থী সব সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, তা নিশ্চিত নয়। তার কারণ পপুলার ভোট আর ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাঁচ। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ পদ্ধতির মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় দেশটির একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে এগিয়ে আসতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়া মানে একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সব কটি ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।
মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সব রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেকটোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন। তবে দেশব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও পরাজিত হওয়ার ঘটনা রয়েছে দেশটিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের থেকে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েও তাকে পরাজিত করেছিলেন এই ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির মারপ্যাঁচে।বিস্তারিত