রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন ১০ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল। র্যাব ১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আশরাফুল হক এর নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকরা হলো মো. সবুজ তালুকদার (৪৮), মো. মিজানুর রহমান (৫০) ও মো. সাহাবুব রহমান বাবলু (৬০)। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. সিরাজুল ইসলাম নামে চতুর্থ আসামি পালিয়ে যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পলাতক আসামি সিরাজুল ইসলাম বাদী মো. আক্তার হোসেন (৪০) এর ভাতিজা মো. মিজানুর রহমান (২৭) কে সশস্ত্র বাহিনীর বেসামরিক পদে চাকরি প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের যোগসাজশে নগদ ২,৯৮,০০০/- টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে সিরাজুল ইসলাম কোনো প্রকার চাকরি প্রদান না করে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে এবং গৃহীত টাকা ফেরত না দিয়ে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় মো. আক্তার হোসেন (৪০) র্যাব ১০ এ অভিযোগ দায়ের করে।
উল্লেখ্য, বিগত এক মাসাধিককাল ধরে আরো প্রায় ১০ জন প্রতারিত ভুক্তভোগী উত্তর যাত্রাবাড়ীতে সক্রিয় এরূপ একটি চক্রের বিরুদ্ধে চাকরির নামে অর্থ আত্মসাতজনিত প্রতারণার অভিযোগ করে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে এবং এমন একাধিক অভিযোগের আলোকে র্যাব ১০ বিগত প্রায় ১ মাস যাবৎ উপরি-উক্ত প্রতারকচক্রের ওপর নিবিড় অনুসন্ধান, গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি করে আসছিল।
সর্বশেষ ভুক্তভোগী মো. আক্তার হোসেন (৪০) এর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের আলোকে র্যাব ১০ এর একটি চৌকস দল প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি সিরাজ কৌশলে পালিয়ে যায়।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বেকার, চাকরিপ্রত্যাশী ছেলে-মেয়েদের অর্থের বিনিময় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছে। চাকরি প্রদানের নামে প্রতারণাপূর্বক বিভিন্ন যুবক ও তাদের পরিবার থেকে এরই মধ্যে আনুমানিক অর্ধকোটি টাকার ওপরে আত্মসাৎ করেছে এ প্রতারকচক্র।
তাদের প্রতারণার খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে অসংখ্য বেকার, চাকরিপ্রত্যাশী ছেলে-মেয়ের পরিবার। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।