নিজস্ব প্রতিবেদক; রাজধানীর উত্তরখানের ময়নারটেক এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মা-মেয়ে ও ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। আজ সোমবার দুপুরে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘এই তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। তাও অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে তাদের খুন করা হয়।’
তিনি জানান, মা জাহানারা বেগমের গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাতের হালকা দাগ রয়েছে। তবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া মেয়ে তাসফিয়া সুলতানা মিমের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জাহানারা বেগমের ছেলে মুহিম হাসানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
ওই চিকিৎসক আরও জানান, পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে তখন কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। ওই বাসার লক কোন অবস্থায় ছিল সেটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বলা যাবে। মরদেহ তিনটির ভিসেরা আলামত সংগ্রহ করে। ভিসেরা প্রতিবেদন এলে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ৭২ ঘণ্টা আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং হত্যার অনেক আলামতই এই সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরখানের একটি একতলা বাড়ি থেকে গতকাল রোববার এক পরিবারের তিন সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- জাহানারা খাতুন (৪৮), তার ছেলে মহিক হোসেন রচি (২৭) ও মেয়ে তাসফিয়া সুলতানা মীম (২০)। ২০০৬ সালে জাহানারার স্বামী মারা যান।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। তবে বাড়িটির ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। দরজা ভেঙে তিনজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মহিকের মরদেহ মেঝেতে এবং বাকি দুজনের মরদেহ বিছানায় পড়ে ছিল। বাড়িটি থেকে রক্তের দাগ সম্বলিত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।