ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩০ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি হিসাবে ৯২ কোটি টাকা এফডিআর এবং ১৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮ কোটি টাকা জমা করা হয়। তবে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। দুর্নীতি দমন কমশিনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত উল্লাহ। এরপর রাজধানী ও এর উপকণ্ঠের সড়কে প্রতিদিন চলাচল করা প্রায় ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কে নতুন বাস নামানোর অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। সড়কে চাঁদাবাজি করে তিনি হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়েছেন। নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে জমান বড় অঙ্কের টাকা। বিদেশেও তার রয়েছে বিপুল সম্পদ।
২০২১ সালের জুনে ‘এনা’ পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।বিস্তারিত