কোনো প্রশ্ন ছাড়াই আবারো দেশে ডলার ফেরানোর চিন্তা

কোনো প্রশ্ন ছাড়াই আবারো দেশে ডলার ফেরানোর চিন্তা

ডলার সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বেশ কয়েকবার দাম বাড়ানোসহ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তবে তীব্র না হলেও ডলারের সংকট আদতে কাটেনি। এ রকম পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে আবারো বিদেশ থেকে অবাধে ডলার আনার প্রক্রিয়া উদার করে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এর আগে ২০২২ সালের ২৩শে মে এরকম একটি সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার সরবরাহ বাড়াতে সেই প্রক্রিয়া আবারো চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। ফলে যত খুশি ডলার আনা যাবে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাবদ দেশে যত পরিমাণ ডলার পাঠানো হোক না কেন, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো। আবার এর বিপরীতে আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনাও দেয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। যে কারণে এর চেয়ে বেশি অর্থ একবারে পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা। দেশে অবাধে ডলার আনার প্রক্রিয়ার সেই সিদ্ধান্ত নতুন করে নেয়া হলে বিদেশ থেকে অর্থ আনতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এ নিয়ে বিদেশেও কেউ প্রশ্ন করবে না, আর দেশে তো করবেই না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান মানবজমিনকে বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আগের একটি সার্কুলার আছে। যদি সেই সার্কুলারে নির্ধারিত সময় উল্লেখ না থাকে, তাহলে সেটিই এখনো বহাল থাকার কথা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ডলারের প্রবাহ বাড়াতেই সরকার শিগগিরই নতুন করে প্রশ্ন ছাড়াই দেশে অর্থ আনার প্রক্রিয়াগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ডলারের সংকট তাই সরকার হয়তো ডলারের প্রবাহ বাড়াতে এ সুযোগ দিয়েছে। নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে দেশে ডলার আনায় বড় উল্লম্ফন হতে পারে। এ সময়ে ডলার আনতে এই সিদ্ধান্ত দেশের ও জনগণের জন্য ভালো হবে। দেশ থেকে অবৈধভাবে যাওয়া ডলার হোক আর প্রবাসীদের আয় হোক, দেশে আসলে সবার উপকার হবে। আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ অনেক উন্নত দেশ ডলারকে স্বাগত জানায়। আমাদের জানালেও সমস্যা নেই। ডলার সংকট কেটে গেলে জিনিসপত্রের দাম আরও কমে আসবে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ