সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ;
পুলিশের উপর হামলা-গালিগালাজ ও ভোটার স্মার্টকার্ড বিতরণে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে কাজিপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেন (২২) নামে একজনকে আটক করেছে। তিনি চালিতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বুলু মিয়ার ছেলে।
এছাড়াও ভোটার স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদা না পেয়ে প্রিন্টিং ও লেমিনেটিং ব্যবসায়ীদের উপর চরাও হয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর প্রিন্টার ও আসবাবপত্র কেড়ে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম লুৎফর রহমান জানান, চালিতাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভোটার স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলাকালে সোমবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদার নেতাকর্মীসহ সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে লাইনের বাইরের লোকজনকে আগে কার্ড প্রদানের জন্য কর্তব্যরত ব্যক্তিদের উপর চাপ দেন। এ নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তর্কবিতর্কসহ বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতা আবু সায়েম তালুকদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর হামলাসহ গালিগালাজ ও পোশাক টানাহেচড়া করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌঁছলে ছাত্রলীগ নেতারা সটকে পড়েন। রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় এবং অভিযান চালিয়ে ইসমাইল নামে একজনকে আটক করা হয়।
এছাড়াও স্মার্ট কার্ড বিতরণে সহযোগী কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা জানান, ওই ছাত্রলীগ নেতারা প্রিন্টিং ও লেমিনেটিং ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর প্রিন্টারসহ আসবাবপত্র কেড়ে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহম্মেদ জানান, ঘটনার জন্য শুধু ছাত্রলীগ দায়ী নয়-পুলিশেরও দোষ রয়েছে। পুলিশের অসাদচরণের কারণে গ্রামবাসীও পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছিল। দলীয় নেতা ও পুলিশের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলেও তিনি জানান।