তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোছা. আশা খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার উলিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে র্যাব ও পুলিশের তৎপড়তায় সোমবার ভোরে ওই ছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সালাম জানান, রাত ৩টা দিকে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে ৫-৬ জন সশস্ত্র অপহরণকারী উলিপুর গ্রামের সোলায়মান হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় সোলায়মান হোসেনের মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই মেয়ে বাড়ির উঠোনে ধান সিদ্ধ করছিল। এ সময় অপহরণকারীরা অস্ত্রের মুখে আশা খাতুনকে পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। পরে আশা ও তার বোনের চিৎকারে বাবা ও চাচারা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে অপহৃতের চাচা মো. আলেক আলী (৫২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, পরে অপহৃতের স্বজনরা তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে তাড়াশ থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। খবর পেযে তাড়াশ থানা পুলিশ সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ ও হাইওয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পরে র্যাব ও পুলিশ হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু অপহরণকারীরা চেকপোস্ট বসানোর বিষয়টি টের পেয়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বরের অদূরে আশা খাতুনকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভোরে স্থানীয়রা আশাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেয়।
তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে র্যাব ও পুলিশের তাৎক্ষণিক যৌথ অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা মাদ্রাসাছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।