চাল নিয়ে প্রতারণা ♦ নাজিরশাইল-মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই কেটে-পলিশ করে বাহারি নাম ও দাম ধরা হয় ♦ পালকি নাজির ৭৬, মান্নান নাজির ৮২ মজুমদার নাজির ৮২, শাহরিয়ার নাজির ৯৪, কাটারি নাজির ৯৬ টাকা

চাল নিয়ে প্রতারণা ♦ নাজিরশাইল-মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই কেটে-পলিশ করে বাহারি নাম ও দাম ধরা হয় ♦ পালকি নাজির ৭৬, মান্নান নাজির ৮২ মজুমদার নাজির ৮২, শাহরিয়ার নাজির ৯৪, কাটারি নাজির ৯৬ টাকা

দেশের বাজারে নাজিরশাইল নামের কোনো ধান নেই। তারপরও হরেক নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল। একেক দোকানে একেক নামের ও নানা দামের নাজিরশাইলে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। সর্বনিম্ন ৬২ টাকা থেকে ৯৭ টাকায় বিভিন্ন বাজার ও সুপার শপে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে চাল কেটে ও পলিশ করে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়। কখনো অর্ধসেদ্ধ আবার কখনো পূর্ণসেদ্ধ করে বাজারে বিক্রি করা হয়। স্থান-কাল-পাত্রভেদে একই চাল ভিন্ন নামে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বস্তাবন্দি হচ্ছে আড়তগুলোয়। আর ক্রেতাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। টঙ্গী বাজারের চালের আড়তে দেখা যায়, বিভিন্ন নামের নাজিরশাইল চাল বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। মা রাইস স্টোরের প্রোপাইটর মো. কালাম জানান, পালকি নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, মান্নান নাজিরশাইল ৮২ টাকা, শাহরিয়ার নাজিরশাইল ৯৪ টাকা, কাটারি নাজিরশাইল ৯৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মিতু রাইস এজেন্সির বিক্রেতা রাজ্জাক জানান, রয়েল ক্রাউন নাজিরশাইল ভালোটা ৮৬ টাকা, পরের মানের ৮২ টাকা, পালকি নাজিরশাইল ৬৮, মজুমদার নাজিরশাইল ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাহি রাইস এজেন্সি মালিক আবদুর রহিম জানান, সেভেন স্টার নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, জারা নাজিরশাইল ৭৬ টাকা, রয়েল ক্রাউন নাজিরশাইল ৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ানবাজারের জনতা রাইস এজেন্সির প্রোপাইটর হাজী মো. আবু ওসমান জানান, ৭২ থেকে ৮৮ টাকার বিভিন্ন নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে। পালকি নাজিরশাইল ৮৮ টাকা, ছালা পালকি ৭২ টাকা, উৎসব নাজিরশাইল ৬৮ টাকা, হাসকি নাজিরশাইল ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ