পাকিস্তান ও ভারতের সামরিক সংঘাতের ইতিহাস বেশ পুরোনো। এর প্রধান কারণ কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ। এ ছাড়া দেশ ভাগ, ধর্ম ও আদর্শিক কিছু বিভেদ দেশ দুটিকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতে জড়াল তারা। পেহেলগামে হামলার মধ্য দিয়ে শুরু; এখন রীতিমতো বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। এ সংঘাতের শুরু, অস্থিতিশীলতা, প্রত্যেকের সামরিক অবস্থানসহ প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে আজকের আয়োজন-
দুই দেশের মধ্যে যত যুদ্ধ
হিন্দু-মুসলিম দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে জড়িয়েছে…
১৯৪৭ সালের দেশভাগ : দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম নেয় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান। এ বিভাজন বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ঘটে। ফলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্থানচ্যুত হন। কাশ্মীরের শাসক তখন সিদ্ধান্ত নিতে না পারায়, পাকিস্তানপন্থি যোদ্ধারা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে। রাজা ভারতের সহায়তা চাইলে ভারতও সামরিক হস্তক্ষেপ করে। শুরু হয় দুই দেশের প্রথম যুদ্ধ। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয় ‘যুদ্ধবিরতি রেখা’ দিয়ে; যা পরবর্তীতে ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ বা এলওসি নামে পরিচিতি পায়।
১৯৬৫ সালের দ্বিতীয় যুদ্ধ : পাকিস্তান ১৯৬৫ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়। হাজার হাজার প্রাণহানির পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ : ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হয় গণআন্দোলন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তা দমন করতে অভিযান চালায়। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্র সংগ্রামে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। লক্ষাধিক মানুষ ভারতে শরণার্থী হন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।বিস্তারিত