ব্যাংকের টাকা সাধারণ গ্রাহকের। আর তা ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষক’-এর মতো নির্বিচারে লুটপাট করেছেন মালিকরা। পরিচালকের তকমা লাগিয়ে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়েছেন যোগসাজশ করে। নামে-বেনামে, ভুয়া নথিপত্র আর জাল দলিলে রীতিমতো ‘হাওয়া’ করে দিয়েছেন শতকোটি নয়, হাজার কোটি নয়; প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।
বিশ্বের ব্যাংকিং জগতের এমন বিরল ‘টাকা লোপাটে’র ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখে ধুলা দিয়ে। সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার দাওয়াই দিয়ে ওরাই আবার এখনো নিজ নিজ অবস্থানে বহাল তবিয়তে। ব্যাংকগুলো সংকটে, গ্রাহকরা টাকার জন্য পথে পথে, সৎ উদ্যোক্তারা উচ্চ সুদেও বিনিয়োগের জন্য পাচ্ছেন না ঋণ। কিন্তু নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির ‘নায়ক’ ওই ব্যাংক পরিচালকদের শাস্তি হচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁরা ব্যাংক খাতকে অর্থ আত্মসাতের একটা জায়গা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের এখন শাস্তি হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে বর্তমানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৫২টি এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের মোট পরিচালকের সংখ্যা ৭৬০।বিস্তারিত