আওয়ামী লীগ আমলে সাধন চন্দ্র মজুমদার পর পর দুই মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নওগাঁ জেলার অঘোষিত রাজা। নিজ দলের নেতৃত্ব গঠনসহ সরকারি নির্মাণকাজ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবস্থাপনা, খাসজমি ও জমি দখল, বিচার-সালিস—সবখানেই ছড়ি ঘোরাতেন তিনি। সেই সাধন চন্দ্র গ্রেপ্তার হয়ে এখন কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি।
তবে তাঁর কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ, হম্বিতম্বি কারাগারে গিয়েও কমেনি। বন্দি হয়েও কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন তিনি। পরিণতিতে নেমেও আসে সাজা। ডিভিশন বাতিল হয়ে সাধারণ বন্দির কাতারে নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
শুধু সাধন চন্দ্রই নন, অসদাচরণ বা দুর্ব্যবহারের কারণে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ স ম ফিরোজ, রাজশাহীর এমপি এনামুল হক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ডিভিশন বাতিল করে সাজা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারাবন্দি মন্ত্রী-এমপিসহ ভিআইপি বন্দিরা এমন কিছু সুযোগ-সুবিধার আবদার করেন, যা কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। চাহিদামতো সুবিধা না পেয়ে তাঁরা কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।বিস্তারিত