প্রতিদিনই ডেঙ্গুজ্বরের থাবায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই আগ্রাসি রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। এরই মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। বরিশাল, বরগুনায় জটিল রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। দেরিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং ডেঙ্গুতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগী বিলম্বে হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক আকারে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বছর ১৩ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মারা গেছেন ৫১ জন। শুধু বরিশাল বিভাগেই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছেন ১৪ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বরগুনা জেলায়। হঠাৎ করে বরগুনায় রোগী বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বরগুনার সরকারি হাসপাতালগুলোয় শয্যার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি। এই বাড়তি রোগীর চিকিৎসা দিতে দুই দফায় চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার পরও রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেরিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াকে দায়ী করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু : দেশে ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজন মারা গেছেন। গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৫ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিস্তারিত