টার্গেট পূরণে ব্যর্থ ৪২ বৈদেশিক মিশন ► ২১ মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়ে কম ► ২০টির মধ্যে ১৭ কমার্শিয়াল উইং পিছিয়ে ► ব্যাখ্যা চেয়ে মিশনে চিঠি পাঠাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

টার্গেট পূরণে ব্যর্থ ৪২ বৈদেশিক মিশন ► ২১ মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়ে কম ► ২০টির মধ্যে ১৭ কমার্শিয়াল উইং পিছিয়ে ► ব্যাখ্যা চেয়ে মিশনে চিঠি পাঠাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে ১১ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত। দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে কমার্শিয়াল উইং রয়েছে। এমনকি প্রতি বছর যে দুবাই এক্সপো হয়, সেখানে ঘটা করে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। দেশ থেকে সরকারি কর্মকর্তারাও সেই স্টল পরিদর্শনে যান। তবে যে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এত উপলক্ষ, সে লক্ষ্যই পূরণ হচ্ছে না। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দুবাই বাংলাদেশ মিশনকে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মিশনটি। শুধু তাই নয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যে রপ্তানি আয় অর্জিত হয়, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে তার চেয়েও রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুবাই মিশনের মাধ্যমে ৩৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় এসেছে, যা টার্গেটের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ মিশন থেকে ৪০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছিল।

শুধু যে দুবাই মিশন ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, ইপিবির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে ৬১টি বৈদেশিক মিশন রয়েছে, তার মধ্যে ৪২টি মিশন রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ৪২টির মধ্যে আবার ২১টি মিশন আগের অর্থবছরের চেয়েও রপ্তানি আয়ের পিছিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন মিশনে যে কমার্শিয়াল উইং বা বাণিজ্যিক শাখা স্থাপন করা হয়েছে, রপ্তানি আয়ের দিক থেকে সেগুলো আরও বেশি খারাপ করেছে। মানে বিদেশে ২০টি মিশনে কমার্শিয়াল উইং রয়েছে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ