বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বড় ভাই মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের (৭০) বিরুদ্ধে বাশেঁর মুগুরের আঘাতে ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে (৬০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘাতক বড় ভাই ফজলুরকে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে নিজবাড়ি থেকে আটক করেছে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) এশার নামাজের সময় চরগাও মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত উপজেলা ধনপুর ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের কান্দু মুন্সির ছেলে।
ঘাতক ফজলুর রহমান নিহতের আপন বড় ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে বড় ভাই ফজলুরের সঙ্গে ছোট ভাই মজিবুরের কথা কাটাকাটি ও দুইজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাতে ছোট ভাই মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এশার নামাজে যান। তিনি এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়ছিলেন।
শেষ রাকাতের সময় বড় ভাই ফজলুর মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মজিবুরকে বাশেঁর মুগুর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হলে মুসল্লিরা ও পরিবারের লোকজন মজিবরকে রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানোর পরামর্শ দিলে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি আবুল মুখলেছুর রহমান জানান, নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক ফজলুরকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের মরদেহ এখনো সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।