পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে প্রধান আলোচনার বিষয় হবে রোহিঙ্গা সংকট।
মন্ত্রী আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট সামনে চলে আসবে এবং আমরা আশা করি এরপর নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার আরো চাপে পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের তারিখ নির্ধারণে কাজ করছি, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সফর সূচি নির্ধারণে আমরা আশাবাদী।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের এই সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করতে চীন আন্তরিক। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য চীন আমাদের সর্বদা পরামর্শ দিয়ে আসছে।
মিয়ানমার কখনই বলেনি যে, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবে না, বরং তারা তাদের ফিরিয়ে নিতে আমাদের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে তিনি জানান।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইনে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাদের চাপে রাখতে আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র সমূহ বিশেষত চীনের মত রাষ্ট্র যাদের মিয়ানমারের ওপর প্রভাব রয়েছে, তাদের আহ্বান জানিয়ে আসছি বলে তিনি জানান।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে এর এড হক মিনিস্টারিয়াল কমিটি আন্তর্জাতিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করায় অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) কে ধন্যবাদ জানান।
এটি ওআইসির একটি বড় পদক্ষেপ। যখন সব ওআইসি দেশ সমর্থন জানাবে, তখন গাম্বিয়ার এটর্নি জেনারেল এর নেতৃত্ব দিবেন বলে মোমেন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত যখন দেখবে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী, তখন মিয়ানমার সরকার চাপে থাকবে। আদালত যদি রায় দেয় তাহলে তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য সহজ হবে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ওই রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়।