রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক কয়েকটি ইস্যুতে আটকে গেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। দফায় দফায় এবং দিনের পর দিন ওই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রায় সব কটি রাজনৈতিক দল একমত হলেও এর নাম, গঠন, মেয়াদ ও দায়িত্ব নিয়ে রয়েছে নানান মত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কাঠামোতেও একমত হতে পারেনি দলগুলো।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। একই পথে হেঁটেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ওপর ভার ছেড়ে দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী বুধবার উচ্চকক্ষ সম্পর্কে কমিশনের চূড়ান্ত মতামত রাজনৈতিক দলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে। যারা মানবে তারা মানবে, যারা মানবে না তারা মানবে না। এমনকি কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।
এর আগে গতকাল সকালে সংলাপের শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে। উচ্চকক্ষের নাম বিএনপি ও সংস্কার কমিশন ‘সিনেট’ হিসেবে সুপারিশ করেছে। জামায়াত কোনো নাম উল্লেখ করেনি। আর এনসিপি উচ্চকক্ষের নাম ‘জাতীয় পরিষদ’ প্রস্তাব করেছে।বিস্তারিত