নৌকার বিকল্প ছক লাঙ্গলে! আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরাসরি অংশ নিতে না পারলে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী দিতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের মিত্র ১৪ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের সাথেও ভোটের রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে।

নৌকার বিকল্প ছক লাঙ্গলে! আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরাসরি অংশ নিতে না পারলে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী দিতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের মিত্র ১৪ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের সাথেও ভোটের রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে।

চব্বিশের নৃশংস গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। এখন পর্যন্ত বলা যায়, আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারছে না। কিন্তু তাদের তৎপরতা নানাভাবে রয়েছে। প্রতি বিপ্লবসহ নানাভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে দলটির নেতারা। এর মধ্যে কিছু নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। তবে বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোট ব্যাংক কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর স্বৈরাচার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর।

রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরাসরি অংশ নিতে না পারলে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী দিতে পারে দলটি। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের মিত্র ১৪ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের সাথেও ভোটের রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম। তবে বিকল্প ভাবনাও রয়েছে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের স্বারথী হতে পারে। আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ না নিলে লাঙ্গলের জন্য বোনাস বলেই মনে করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। উভয় দলের একটি অংশ মনে করে আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে নৌকার বিকল্প ছক লাঙ্গল। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোটে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। নৌকার ভোট এক বাক্সে আনার ছক কষছে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নৌকার বিকল্প হতে পারে আওয়ামী সমর্থকদের জন্য। আগামী দিনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আদর্শগত মতপার্থক্য থাকলেও যেকোনো উপায়ে দেশের রাজনীতিতে ফেরাই মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগের।

এ দিকে আগামী নির্বাচনে এমন একটি সুযোগ আসলে জাতীয় পার্টির জন্য সুখবরই বলে মনে করছেন জাপার নেতারা। ৫ আগস্টের পর কিছুটা চাপে থাকা জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং দুই প্রভাবশালী নেতা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে বহিষ্কার করার পর অতীতে বহিষ্কৃত ও ভিন্ন দল করা শীর্ষনেতাদের ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ১৪ জুলাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অংশের নেতারা এক মঞ্চে আসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও জাতীয় পার্টির (মতিন) নেতারাও এতে যোগ দেন।বিস্তারিত

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ