বিজ্ঞানের ইতিহাস ‘মানব’ সভ্যতাকে অগ্রগতির পথে নিয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের সব ‘তত্ত্ব’ আবার সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকতে পারেনি। এদের মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিক ‘তত্ত্ব’ ভয়ানক ভুল প্রমাণিত হয়- যা কেবল মানুষের বোঝার সীমাবদ্ধতাই প্রকাশ করেনি, বরং সত্যের অনুসন্ধানে সংশয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গুরুত্ব তুলে ধরে। ফ্যান্টম কণা এবং বিষাক্ত বাতাস, এমনকি অদৃশ্য মহাজাগতিক পদার্থ পর্যন্ত, অসংখ্য ‘তত্ত্ব’ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হলেও পরবর্তীকালে তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়-
ভুল করা মানুষের স্বভাব। কিন্তু এই অজুহাত বিজ্ঞানীদের জন্য তেমন কাজে আসে না। কারণ, আমরা সঠিক পথে চলতে বিজ্ঞানের ওপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা করি। তবে বিজ্ঞানীরাও মানুষ, তাই বিজ্ঞানও ভুলমুক্ত নয়। মজার বিষয় হলো- বিজ্ঞানে ভুল খুবই সাধারণ ঘটনা এবং বেশির ভাগ বিজ্ঞানী মনে করেন, ভুল না হলে হয়তো উন্নতিও হতো না। কারণ ভুলগুলোই অনেক সময় অগ্রগতির পথ খুলে দেয়। একটি ভুল পরীক্ষা নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্ম দেয়, যা কেবল আগের ভুলটি সংশোধনই করে না বরং নতুন ও অপ্রত্যাশিত সত্যকেও উন্মোচন করে। তবে কিছু বৈজ্ঞানিক ভুল বেশ বিব্রতকর হতে পারে।
► জীবনের অদ্ভুত রূপ : আর্সেনিকের ভিত্তি?
২০১০ সালে এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, প্রাণের একটি নতুন রূপে ফসফরাসের পরিবর্তে আর্সেনিক জৈব অণুর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথম শুনলে সন্দেহজনক মনে হলেও, প্রাথমিক প্রমাণগুলো বেশ জোরালো ছিল। তবে দ্বিতীয়বার খতিয়ে দেখতে গিয়ে সেই ধারণা ধোপে টিকল না।বিস্তারিত