ডিমের চেয়ে প্রোটিনে ভরপুর যেসব খাবার

ডিমের চেয়ে প্রোটিনে ভরপুর যেসব খাবার

 

বিশেষ প্রতিবেদক

ডিমকে পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন বেশি থাকে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যার মধ্যে বেশিরভাগই সাদা অংশে পাওয়া যায়। ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস এবং এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে।

শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের জন্য ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। প্রোটিনের উৎস ডিম ওজন কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হাড়ের স্বাস্থ্য, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

তাইতো প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য বেশিরভাগ মানুষই ডিম খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন এক প্রকারের খাবার না খেয়ে খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্যময় খাবার রাখলে শরীরের উপকার হবে।

অনেক খাবারে ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকতে পারে। এসব খাবার প্রোটিনের পরিমাণের দিক থেকে ডিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই ডিম চমৎকার, কিন্তু তুলনাহীন নয়।

 

মুরগির বুকের মাংস, মাছ, পনির, সয়া এবং মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন। সয়াবিনে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৬-৪০ গ্রামেরও বেশি প্রোটিন থাকে। একইভাবে ১০০ গ্রাম গ্রিল করা মুরগির বুকের মাংসে প্রায় ৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া গ্রীক দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পাশাপাশি উচ্চ প্রোটিনও থাকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে প্রেটিনের চাহিদা পূরণ হবে-

১. পনির: হাড়কে শক্তিশালী করে এবং পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

২. সয়াবিন: একটি উদ্ভিদভিত্তিক শক্তিশালী খাবার, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৬-৪০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৩. দই: প্রোবায়োটিক দুগ্ধজাত পণ্য হওয়ার কারণে দই অন্ত্রের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাধারণ দইতে প্রায় ৩ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। কম চর্বিযুক্ত দইতে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৪. মুগ ডাল: হজমে সহায়তা করে এবং পেটের অন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৫. মসুর ডাল: হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৬. অড়হর ডাল: শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেশি রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২২ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৭. চানার ডাল: ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২২ গ্রাম প্রোটিনও থাকে।

৮. রাজমা: রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৮ দশমিক ৭. গ্রাম প্রোটিন থাকে।

৯. কাবুলি ছোলা: হজম এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১০. ছোলা: প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা বিপাকক্রিয়ার কাজ সহজ করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২২ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১১. কুমড়ার বীজ: কুমড়ার বীজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতি ১০০ গ্রামে ২৯ দশমিক ৮৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১২. বাটারমিল্ক: শরীরকে ঠান্ডা করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৭ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১৩. বাদাম: শক্তির মাত্রা বজায় রাখে এবং ক্ষুধা নিবারণ করে। এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২৫ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১৪. কাঠবাদাম: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। প্রতি ১০০ গ্রামে ২১.২ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

১৫. কাজুবাদাম: উচ্চ মাত্রার ফাইবার আছে, যা হজমের সমস্যা দূর করে। স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে। প্রতি ১০০ গ্রামে ২৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য