নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল ১২ ভাদ্র। এ দিন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি গান-কবিতা, আলোচনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় স্মরণ করা হয় তাঁকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে থাকা সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। সর্বস্তরের মানুষসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক-সংগঠন কবিকে শ্রদ্ধা জানায়।
নজরুলের নাতনি খিলখিল কাজী এদিন বলেছেন, নজরুলের জীবনদর্শন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হলে শুধু পাঠ্যপুস্তকে একটি ছড়া বা একটি কবিতা যথেষ্ট নয়। শুধু জন্মদিন বা মৃত্যুদিনে নজরুলকে স্মরণ করাও যথেষ্ট নয়। কতটা সংগ্রামী ছিল নজরুলের জীবন, মানুষের জন্য তিনি কী কী কাজ করেছেন, তা বুঝতে হলে তাঁর সংগ্রামী জীবনের আদ্যোপান্ত জানতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, নজরুল সব সময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। সেই মূল্যবোধ ও চেতনাকে ধারণ করে ছাত্র-জনতা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন।
শুরুতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর বিএনপির পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাবি উপাচার্যের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগ ও হলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। বাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ইত্যাদি দলের নেতারাও শ্রদ্ধা জানান। সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে নজরুল একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নজরুল-প্রমীলা পরিষদ, নজরুল চর্চা কেন্দ্র বাঁশরী, শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি সংগ্রহশালা, জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) ও জিয়া শিশু-কিশোর মেলার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়