গবেষণা ও উদ্ভাবনে পিছিয়ে রয়েছে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রতিবেশী দেশগুলো অনেক এগিয়ে থাকলেও অবস্থার পরিবর্তন নেই বাংলাদেশের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি বরাদ্দ ও গবেষণার ফল মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেই। গত বছর প্রযুক্তিগত গবেষণায় ভারতে ৫০ হাজারের অধিক ও পাকিস্তানে ৫ হাজারের অধিক পেটেন্ট হলেও বাংলাদেশ থেকে গবেষণা পেটেন্ট হয়েছে ১০ থেকে ১২টি।
বর্তমানে বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) ২০২৫-এ ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। গত বছরও একই অবস্থানে ছিল। এর আগে টানা চার বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬তম।
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) গত ১৬ সেপ্টেম্বর সূচকের ১৮তম সংস্করণ প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ ২১ পয়েন্ট নিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৩৭ দেশের মধ্যে ১৯তম এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ১০ দেশের মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে। ১৩৯টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে ৯৯তম স্থানে আর ভারত রয়েছে ৩৮তম স্থানে ও শ্রীলঙ্কা ৯৩তম স্থানে। এর আগে বাংলাদেশ ২০২২ সালে এক লাফে ১৪ ধাপ উঠে ১০২তম অবস্থানে গেলেও পরের বছরই পিছিয়ে পড়ে আবার। নেমে আসে ১০৫তম অবস্থানে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হয় ১০৬তম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বর্তমানে দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গোড়া থেকেই ভুল আছে। পড়াশোনার দুটি দিক একটি লেখাপড়া করে গাড়িঘোড়া চড়লাম। আরেকটি দিক আমাদের গবেষণা করতে হবে, পাশ্চাত্যের সঙ্গে টেক্কা দিতে হবে। ইংল্যান্ড-আমেরিকা কোটি কোটি ডলার খরচ করে গবেষণা করছে।বিস্তারিত