গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বেগ ও তিন দাবি

গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বেগ ও তিন দাবি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সোমবার এক বার্তায় গুলশানে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এনসিপি যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন এই বার্তায় বলেন, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একটি গুরুতর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে জনগণের তথ্য আহরণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • বার্তায় এনসিপি তিনটি মূল দাবি তুলেছে:
    ১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে;
    ২. রাজনৈতিক দলসমূহের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন;
    ৩. গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

এছাড়া এনসিপি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে।

বার্তায় আরও বলা হয়েছে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি করে। এজন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানা গেছে, গত ১৯ অক্টোবর বিকেলে গুলশানে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের সময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই সময় জাহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয় এবং কয়েকজন সাংবাদিককে শারীরিক ও মৌখিক হেনস্থার শিকার হতে হয়।

এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এখনো এই হামলার ঘটনায় তদন্ত বা আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপের তথ্য পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কঠোর অবস্থান এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি প্রকাশ রাজনৈতিক পরিবেশে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ