দেশীয় চলচ্চিত্রে গ্ল্যামার ও পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত নুসরাত ফারিয়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মা ও বাবার একটি ছবি শেয়ার করে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের ৩৭ বছরের যাত্রাপথ স্মরণ করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, “আম্মু-আব্বু, তোমরা এমন এক ভালোবাসার উদাহরণ তৈরি করেছো, যা ভাঙা তো দূরের কথা, স্পর্শ করাও কঠিন। ৩৭ বছরের একসাথে পথচলা, যত ঝড়-ঝাপটাই আসুক তোমাদের বন্ধন আজও ততটাই মজবুত।”
এখানেই থেমে না থেকে ফারিয়া আরও বলেন, “তোমরাই শিখিয়েছো ভালোবাসা মানে ধৈর্য, ত্যাগ আর একে অপরের পাশে থাকা। তোমরাই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর উদাহরণ।”
এই পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান বা বার্ষিকী উপলক্ষে উল্লেখ না থাকলেও, অনেকেই ধারণা করছেন এটি হয়তো তাঁদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে লেখা। পোস্টটি অল্প সময়ের মধ্যেই ভক্তদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনের এমন আন্তরিক ও ইতিবাচক বার্তা সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয়। অনেক অনুসারী মন্তব্যের ঘরে ফারিয়ার মা-বাবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
এই ধরনের পারিবারিক বার্তা তারকাদের সামাজিক প্রভাবকে নতুন মাত্রায় উপস্থাপন করে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। যেখানে চলচ্চিত্র বা গ্ল্যামারের বাইরে, একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মূল্যবোধও উঠে আসে সাধারণ মানুষের সামনে।
নুসরাত ফারিয়ার ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল রেডিও জকি হিসেবে। পরবর্তীতে মডেলিং ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের মাধ্যমে তিনি শোবিজে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। ২০১৫ সালে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি “আশিকী” দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে ছিলেন ভারতীয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়া এই চলচ্চিত্রের পর থেকেই ফারিয়া নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্রে কাজ করে আসছেন।
তার কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয় বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা সিনেমা জগতে। গত এক দশকে তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার গ্ল্যামারাস উপস্থিতি ও উপস্থাপনায় দর্শকের কাছে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন।
ফারিয়ার এই সাম্প্রতিক পোস্টটি শুধু ব্যক্তিগত আবেগ নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী পারিবারিক সম্পর্কের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক উদাহরণ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এমন বার্তায় অনেকে নিজেদের পরিবার নিয়েও ভাবতে উৎসাহ পান বলে মন্তব্য করেছেন।