মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর অবরোধ শুরু হয়। অবরোধ চলাকালীন সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে পরে অবরোধকারীরা নিজেদের উদ্যোগে পথমুক্তি দেন।
অবরোধকারীরা “মাদারীপুরের সীমানা ফরিদপুরে হবে না”, “ঢাকা বিভাগ ছাড়বো না, অন্য বিভাগে যাবো না” স্লোগান দেন। তাদের দাবি, মাদারীপুর জেলা যেন প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত না হয় এবং ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত থাকুক।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, মাদারীপুর ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। পদ্মা সেতুর ফলে ঢাকা- মাদারীপুর যোগাযোগ আরও সুগম হয়েছে। জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হলে জনগণের সময় ও খরচ বেড়ে যাবে।
তারা আরও জানান, স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে এমন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি হবে। তাই মাদারীপুরের সর্বস্তরের জনগণ সরকারের কাছে তাদের জেলা ঢাকার অন্তর্ভুক্ত রাখার জন্য অনুরোধ জানান।
অবরোধে মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসংগঠক জহিরুল ইসলাম সানি, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুল তামিম আশিক, এনসিপির জেলা সদস্য রুবেল মাহমুদসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।