পলাতক আসামিরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না: আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত **গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)** সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সংশোধনী অনুযায়ী, **পলাতক আসামিরা** জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার **তেজগাঁও**য়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক **মুহাম্মদ ইউনূস** এর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে **ফরেন সার্ভিস একাডেমি**তে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে **আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল** এবং **প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম** সংশোধিত আরপিওর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “সংশোধিত আরপিওতে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে যে, পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেন, “পলাতক আসামি বলতে সেই ব্যক্তিকেই বোঝানো হয়েছে যাকে আদালত পলাতক ঘোষণা করেছে। যেদিন আদালত আসামিকে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাকে এবং সেই আসামি হাজির না হলে, আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করতে পারে।”

এ মাসের শুরুতে **আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল** আইনেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, **মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়** ফরমাল চার্জ দাখিল হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই সংশোধনী পাস হওয়ার পর, এমন মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়বেন।

গত বছর জুলাইয়ে হওয়া অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় **আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে** চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় **আওয়ামী লীগের** অনেক নেতার বিচার চলছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কিছু নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং অন্যান্য অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যদি এই নেতারা আদালত থেকে পলাতক ঘোষণা হন, তবে তাঁদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকবে না।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়ায় **পলাতক আসামিদের** জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা আইনগতভাবে নিশ্চিত করেছে যে, যারা আদালত থেকে পলাতক ঘোষণা হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ