বায়ুদূষণে শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর, দ্বিতীয় অবস্থানে দিল্লি

বায়ুদূষণে শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর, দ্বিতীয় অবস্থানে দিল্লি

বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যেখানকার বায়ু মান বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বায়ু মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাহোরের দূষণ স্কোর ৩৬০, যা দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক বলে বিবেচিত। এর পরেই রয়েছে ভারতের দিল্লি, কলকাতা, চীনের বেইজিং এবং বাংলাদেশের ঢাকা।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটের আপডেট অনুযায়ী, লাহোর, দিল্লি, কলকাতা, বেইজিং এবং ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই শহরগুলোতে বায়ুর মান বিপজ্জনক এবং অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

বায়ুর মান নির্ধারণে ব্যবহৃত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে তা ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি বা সহনীয় বলে ধরা হয়, তবে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে তা অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য হয় এবং ২০১ থেকে ৩০০ স্কোর খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। স্কোর ৩০১-এর বেশি হলে তা বিপজ্জনক এবং দুর্যোগপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়।

  • পাকিস্তানের লাহোর: দূষণ স্কোর ৩৬০, যা দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক।

  • ভারতের দিল্লি: দূষণ স্কোর ২৪৭, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।

  • ভারতের কলকাতা: দূষণ স্কোর ১৮৯, যা অস্বাস্থ্যকর।

  • চীনের বেইজিং: দূষণ স্কোর ১৭৮, যা অস্বাস্থ্যকর।

  • বাংলাদেশের ঢাকা: দূষণ স্কোর ১৬৯, যা অস্বাস্থ্যকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, দীর্ঘমেয়াদী বায়ুদূষণের কারণে মানুষের শ্বাসযন্ত্র এবং হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া বায়ুদূষণ শিশুদের শ্বাসকষ্ট, অপুষ্টি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। লাহোর, দিল্লি, কলকাতা, বেইজিং এবং ঢাকা যেখানে বায়ুর মান বিপজ্জনক এবং অস্বাস্থ্যকর, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের এই শহরগুলোর বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে, কারণ এর প্রভাব শুধুমাত্র পরিবেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং মানুষের জীবনের গুণমানও কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই শহরগুলোর সরকারগুলোর উচিত দূষণের উৎস চিহ্নিত করে, নির্গমন কমানোর জন্য কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

ঢাকার বায়ু মানও বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে, যা রাজধানীসহ পুরো দেশের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরায়ণের গতি বৃদ্ধি, নির্মাণ কাজ, যানবাহন নির্গমন, এবং শিল্পকারখানার কারণে ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। রাজধানীতে বায়ু দূষণ কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিবেশবিদরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন।

বায়ুদূষণ কমাতে শুধু সরকারের ভূমিকা নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিতে হবে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ