অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, তারা গত ১৫ মাস ধরে কাজ করছেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর তারা আরও দুই-তিন মাস দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, জাতি মূল্যায়ন করবে তারা কী করতে পেরেছেন এবং কী করতে পারেননি।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, অনেকেই দাবি করছেন যে, উপদেষ্টারা “সেফ এক্সিট” চান, তবে তার দাবি, তার কোনও সেফ এক্সিট প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, তার সম্মানিত সহকর্মী ফাওজুল কবির খান সাহেব একটি অর্ডিন্যান্স তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকারে মন্ত্রী হিসেবে না থাকলেও, তারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে অবদান রাখতে পারেন।
তিনি জানিয়ে দেন, যদি আগামী সরকার তাকে ইনভাইট করে, তবে তিনি কেবিনেটের অংশ হবেন না। তবে, তিনি আগেই বলেছিলেন যে, তিনি সরকারের অংশ হিসেবে মন্ত্রিত্ব নিতে আগ্রহী নন, এবং যাদেরকে তিনি সম্মান জানান, তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি সরকারে যোগদান করবেন না।
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, সরকারের বরাদ্দ থেকে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই বরাদ্দ সরকারী ফান্ড থেকে আসে, যা সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকে, এবং সেখান থেকে বিতরণ করা হয়। তিনি এটিকে ইসলামী রাষ্ট্রের বিষয় না বলে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের কাঠামো হিসেবে তুলে ধরেন।
খালিদ হোসেন বলেন, “কঠিন চীবরদান” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন এবং সেখানে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তার মতে, এই ধরণের সম্প্রীতি না থাকলে রাষ্ট্র অগ্রগতি লাভ করতে পারে না।
তিনি ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে প্রচারিত এক মন্তব্যের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যেখানে তাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “এটা ঠিক নয়। আমি একদিন মারা যাবো, তবে এখনো আমি বেঁচে আছি।”
তিনি দাবি করেন, তিনি এক টাকার দুর্নীতিও করেননি। তিনি বলেন, হাজিদের ফেরত দেওয়া সাড়ে আট কোটি টাকা এবং সৌদি আরবে আটকে থাকা ৩৯ কোটি টাকা এজেন্সির মধ্যে বিতরণ করেছেন। তবে, তিনি এটাও জানান যে, ১৬-১৭ বছরের পুরোনো জঞ্জালকে এক বা দেড় বছরের মধ্যে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, তবে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।


