কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব তাদের আটক করে এবং পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেন।
আটককৃতরা
আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:
-
সোহেল (৩০) – কুচিতলী এলাকার আবু মিয়ার ছেলে।
-
মাহবুবুর রহমান (২৮) – তেতৌয়ারা এলাকার গাজী আব্দুল লতিফের ছেলে।
-
জাকির (৪০) – চর পাত্তি এলাকার মৃত শফিউল্লার ছেলে।
-
তাজুল ইসলাম – কোথায় তুমি এলাকার এরশাদ মিয়ার ছেলে।
-
মাহমুদ (৪০) – চাঁপাপুর এলাকার আব্দুল মমিনের ছেলে।
-
নাছের (৩৬) – কুচিতলী এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
-
ইমন (২১) – কুচিতলী এলাকার রকিবুল ইসলামের ছেলে।
-
আলাউদ্দিন – চৌদ্দগ্রামের চিওড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
-
মো. অপু (৩৪) – সদর দক্ষিণের রাজাপাড়া এলাকার মোরশেদ আলমের ছেলে।
-
আব্দুল আজিজ – ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর ফাজিলপুর এলাকার তাজেম হোসেনের ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২-এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্রের কিছু সদস্য রোগী এবং তাদের স্বজনদের নানা ভাবে হয়রানি করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ দল হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় এবং দালালচক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা হাসপাতালের ভেতরে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দালালি কার্যক্রম চালিয়ে গণউপদ্রব সৃষ্টি করছিল। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৯১ ধারায় অভিযোগ আনা হয় এবং সুষ্ঠু বিচার শেষে তারা বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দালালদের দৌরাত্ম্য এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি বন্ধে ভবিষ্যতেও র্যাব-১১-এর অভিযান চলবে। আটককৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ অভিযানের মাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্রের কার্যক্রমকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে রোগীরা সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে চিকিৎসা নিতে পারেন।


