ডিএসইতে নতুন নিয়ম: এক টাকার নিচে শেয়ার লেনদেনে ‘টিক সাইজ’ এক পয়সা

ডিএসইতে নতুন নিয়ম: এক টাকার নিচে শেয়ার লেনদেনে ‘টিক সাইজ’ এক পয়সা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আগামী বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে এক টাকার নিচে শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক টাকার নিচে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য পরিবর্তন বা ‘টিক সাইজ’ এক পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে, বাজারে শেয়ারের দাম আরও সূক্ষ্মভাবে ওঠানামা করতে পারবে, যা বাজারের তারল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বর্তমানে, সব ধরনের ইক্যুইটি সিকিউরিটিজের টিক সাইজ ১০ পয়সা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু কিছু শেয়ারের দাম এক টাকার নিচে চলে যাওয়ায়, যেমন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) এবং ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড-এর শেয়ারের দাম ৯০ পয়সায় নেমে যায়, সেখানে ১০ পয়সার টিক সাইজ নিয়মের কারণে দাম বৃদ্ধির বা কমানোর সুযোগ ছিল না।

বাজারের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শেয়ারের দাম একবারে ১০ পয়সা পরিবর্তন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা হয়, তাহলে তা ১০ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকায় চলে যেতে পারে, অথবা ১০ পয়সা কমিয়ে ৮০ পয়সা হতে পারে। কিন্তু ৯০ পয়সায় ১০ শতাংশ বাড়লে তা হবে ৯ পয়সা এবং ১০ শতাংশ কমলে তা হবে ৯ পয়সা কম, যা ১০ পয়সার টিক সাইজে সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতির কারণে অনেক শেয়ারের দাম একই স্থানে আটকে যায়, ফলে লেনদেন কার্যত ‘ফ্রিজ’ হয়ে যায়।

নতুন নিয়মের ফলে এক টাকার নিচে থাকা শেয়ারের দাম এখন ৮৯, ৮৮, ৮৭, ৮৬, ৮৫ পয়সা এমন সূক্ষ্ম দামে অর্ডার দেয়া সম্ভব হবে। এর ফলে:

  • ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবধান কমে আসবে।

  • তারল্য বৃদ্ধি পাবে।

  • লেনদেন ব্যয় কমবে।

ডিএসই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিবর্তন বাজারে শেয়ার মূল্য নির্ধারণ আরও বাজারবান্ধব করবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাজার কাঠামো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ও আরও কার্যকরীভাবে লেনদেন করতে পারবেন।

ডিএসই জানিয়েছে, বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) কে এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং তারা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। নতুন নিয়মটি অটোমেটেড ট্রেডিং রেগুলেশনস, ১৯৯৯-এর ১৮ নম্বর প্রবিধানের অধীনে কার্যকর হবে।

এছাড়া, ডিএসই আশা করছে, এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক দরপতন বা উত্থান সম্ভব হবে, যা একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক হবে, তেমনি বাজারের স্বচ্ছতা এবং কার্যক্ষমতা বাড়াবে।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ